Boost Your brainpower : 10 Habits That Will Make Your Brain 10× Smarter

top-10-mind-habits-that-will-increase-your-brain-power

কথায় আছে স্বাস্থ্যই সবথেকে বড় সম্পদ। এবার তোমার সেই সুস্বাস্থ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তোমার সুস্থ, স্বাভাবিক এবং শক্তিশালী মস্তিষ্ক। যদি ব্রেন ফোকাসড না থাকে, মনোযোগ কমে যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে-তাহলে পড়াশোনা কেন, কোনো কাজ, সিদ্ধান্ত কোনোটাই ঠিকমতো করা সম্ভব হবে না। অথচ কিছু ছোট কিন্তু মারাত্মকভাবে কার্যকরী দৈনন্দিন অভ্যাস রয়েছে যেগুলো এমনভাবে আমাদের ব্রেনকে পরিবর্তন করতে পারে যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তুমি নিজের চিন্তা, বিশ্লেষণ, স্মৃতি আর মনোযোগে এক অবিশ্বাস্য উন্নতির ঢেউ বুঝতে পারবে। এই অভ্যাসগুলো শুধু ব্রেনকে শক্তিশালীই করবে না, তোমার পুরো ব্যক্তিত্ব, শেখার ক্ষমতা, কাজের গতি—সবকিছুকেই নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। চলো তাহলে জেনে নেওয়া যাক, সেই ১০টি শক্তিশালী অভ্যাস যেগুলো তোমার ব্রেন পাওয়ারকে ১০× পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।


Boost Your brainpower : 10 Habits That Will Make Your Brain 10× Smarter


1.Meditation :


তুমি যদি সত্যিই নিজের ব্রেনের কার্য ক্ষমতা কে ও স্মৃতিশক্তিকে করে তুলতে চাও একেবারেই করে সুপার স্ট্রং, তাহলে সবার প্রথমেই তোমার যে জিনিসটি করা দরকার সেটি হল মেডিটেশন (Meditation). 

Meditation এমন একটি জিনিস যেটি নিয়মিত করতে থাকলে তোমার যেকোনো কাজ বা বিষয়ের প্রতি একাগ্রতা বা মনোযোগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। মেডিটেশন যে শুধুমাত্র তোমার মধ্যে একটি শান্ত শক্তিশালী চরিত্র গঠনের সাহায্য করবে তা নয়, সেই সঙ্গে তুমি নিজের মধ্যে এমন এমন বহু শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবে ছাত্র বয়সে তোমার মধ্যে থাকা প্রয়োজন।


2.Brain Training Games :


নিজের ব্রেনকে আরো কয়েকগুণ শক্তিশালী করে তোলার জন্য তোমার অবশ্যই ব্রেন ট্রেইনিং গেমসের উপর ফোকাস করা উচিত। Sudoku, Rotate Crossword, Word Games, Logical Reasoning- এগুলো হলো এমন কিছু জিনিস যেগুলো তোমার তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা Problem Solving Power-কে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলবে।। 

প্রথম প্রথম এই জিনিস গুলোই হয়তো তোমার কাছে কঠিন বলে মনে হবে কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো করার মধ্যে দিয়েই তুমি নিজের মধ্যে এক নতুন শক্তি বা ক্ষমতা, ঠিকই অনুভব করতে পারবে।


3.Learn Something New :


এখন তোমার মধ্যে বা নিজের ব্রেনের মধ্যে যে জিনিসগুলো রয়েছে, যেহেতু তোমার চিন্তাভাবনা সেই জিনিসগুলোকে কিছু করেই তাই স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় তোমার ব্রেনের চিন্তাশক্তি বা কার্য ক্ষমতা সেই পর্যন্তই। এই সাধারণ পর্যায় থেকে নিজের ব্রেনকে অন্য এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোমার সর্বদাই নতুন কিছু শেখার চেষ্টায় থাকা উচিত। কারণ যখনই তুমি নতুন কিছু শিখতে চাইবে বা শেখার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখবে, সেটা হতে পারে যেকোন ভাষা শিক্ষা, কোডিং, এডিটিং- তোমার ব্রেইনে New Neural Connection Create করার উপর জোড় দেবে এবং Short Term memory কে Long Term Memory পরিণত করার প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করে তুলবে।।


4. Quality Sleep :


তুমি সারাদিন যতই পড়ো, কাজ করো বা নতুন কিছু শিখো বা যাই করো না কেন.. এসব কাজের মধ্যে দিয়ে কিন্তু তোমার ব্রেনের যথেষ্ট পরিশ্রম হচ্ছে। এবার শারীরিক পরিশ্রমের পর শরীরের যেমন বিশ্রামের প্রয়োজন হয় ঠিক একইভাবে ব্রেনের পরিশ্রমের পর তারও কিন্তু বিশ্রামের প্রয়োজন হয় আর ব্রেনের আসল রিচার্জিং কিন্তু হয় ঘুমের সময়। ঘুমের মধ্যে ব্রেন সারাদিনের সব তথ্যকে সাজিয়ে রাখে। কোনটা গুরুত্বপূর্ণ, কোনটা ভুলে যেতে হবে, কোনটা স্মৃতিতে রেখে পরের দিন ব্যবহার করতে হবে- এসব ঠিক হয় ঘুমের সময়। ঠিক এই কারণেই রাতের ভালো ঘুম ব্রেনকে পরদিন আরও ফোকাসড করে তোলে।

তাই যদি তুমি প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমে থাকতে পারো, তাহলে পরের দিনের কাজের গতি, মনোযোগ, মুড—সবকিছুই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক উন্নত থাকবে। ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে ফোন সরিয়ে রাখলে, আলো কমালে আর ঘরটা শান্ত রাখলে ঘুম আরও আরামদায়ক হয়। ঘুম যত ভালো হবে, ব্রেন ততটা শক্তিশালী হয়ে কাজে ফিরবে।


5. Regular Exercise :


ছাত্র বয়সে অনেকেই নিজেকে একটু ফিট রাখার জন্য Gym, Calisthenics-এর দিকে ছুটে যায়। এবার তুমি শুনলে হয়তো অবাক হবে যে- ব্যায়াম শুধু শরীরকে ফিট রাখার জিনিস নয় এটা ব্রেনের জন্য এক ধরনের প্রাকৃতিক ওষুধ। যখন তুমি হাঁটো, দৌড়াও বা যেকোনো শারীরিক ব্যায়াম করো, তখন কিন্তু তোমার ব্রেনে রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায়, ব্রেন সেলগুলো আরও সতেজভাবে কাজ করতে শুরু করে। আর এর ফলস্বরূপ তুমি দেখতে পাবে তোমার মন অনেক হালকা হয়ে যাবে, চিন্তাভাবনা পরিষ্কার হবে এবং তোমার মনোযোগ আগের তুলনায় অনেক বেশি স্থির হয়ে উঠবে। তাই নিজেকে ফিট রাখার পাশাপাশি নিজের মস্তিষ্ককে আরো শক্তিশালী, মজবুত করে তোলার জন্য অন্ততপক্ষে খুব বেশি না হলেও তোমার প্রত্যেকদিন ১৫–২০ মিনিটের হালকা এক্সারসাইজ অবশ্যই করা উচিত।


6. Eat Brain-Boosting Foods :


শরীর খাটিয়ে যেকোনো কাজ করার জন্য যেমন শরীরের খাদ্য প্রয়োজন,ঠিক একইভাবে শরীরের এক বিশেষ অঙ্গ হিসেবে মস্তিষ্কের কাজ করার জন্য তারও তো খাদ্যের প্রয়োজন। তোমার ব্রেন সারাক্ষণ কাজ করে, আর এই কাজ চালিয়ে যেতে তার দরকার কিছু সঠিক খাবার। বাদাম, মাছ, ডিম, দুধ, শাকসবজি—এগুলো শুধু তোমার শরীরকে নয়, ব্রেনকেও শক্তি দেয়। বিশেষ করে মাছ বা আখরোটের মতো খাবারে থাকা Omega-3 তোমার স্মৃতিশক্তিকে আরও ধারালো করে তোলে।

একটু ডার্ক চকলেট খেলে ব্রেনের ক্লান্তি কমে যায়, আর পর্যাপ্ত জল পান করলে ব্রেনের ভিতরের সমস্ত কাজ আরও মসৃণভাবে চলতে পারে। তাই দিনের খাবারের সঙ্গে যদি তুমি একটু সচেতনতা আনো,তাহলে তোমার ব্রেনও তার শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে।


7. Read Daily :


আজকাল ফোনের যুগে হাতে ধরে বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমছে, কিন্তু যারা এখনো পড়ে তারা বুঝতে পারে পড়া আসলে ব্রেনের জন্য কত অসাধারণ একটা অভ্যাস। যখন তুমি গল্প, নন-ফিকশন, পত্রিকা বা যেকোনো কিছু পড়ো তখন তোমার ব্রেন অটোমেটিকালি আরও শান্ত, গভীর এবং কৌতূহলী হয়ে ওঠে। পড়ার সময় ব্রেন বিভিন্ন তথ্যকে জুড়ে জুড়ে নতুনভাবে চিন্তা করে, বিশ্লেষণ করে। মনোযোগের সময় বাড়ে, তোমার ভোকাবুলারি আরো সমৃদ্ধ হয় এবং ব্রেন ধীরে ধীরে আরও পরিপক্ব ও শক্তিশালী হতে থাকে। এবার হঠাৎ করে একদিনে বই পড়ার অভ্যাস তোমার মধ্যে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই শুরুটা তুমি প্রতিদিন ১০ মিনিট পড়ে শুরু করতে পারো। ধীরে ধীরে দেখবে তুমি নিজেই পড়ার জন্য সময় বের করতে চাইছো।


8. Journaling :


জার্নালিং মানে শুধু ডায়েরি লেখা নয়; এটা হলো নিজের মনের ভিতরে জমে থাকা চাপ, দুশ্চিন্তা, ভাবনা আর পরিকল্পনাগুলোকে কাগজে নামিয়ে আনার সুন্দর উপায়। তুমি যখন প্রতিদিন মাত্র দুই-তিন লাইন লেখো-তখন তুমি কী শিখলে, কোথায় শিখলে, কোথায় খারাপ লাগলো,ভালোলাগার অনুভূতি- এইসবই তখন লেখার মধ্যে দিয়ে ব্রেনের ভিতরে থাকা বিশৃঙ্খল চিন্তাগুলো পরিষ্কার হতে থাকে। লেখার মাধ্যমে ব্রেন তার ভিতরের চাপ কমিয়ে ফেলতে পারে, আর এর ফলে মনোযোগ বাড়ে, মনে শান্তি আসে, আর নিজের লক্ষ্যগুলো আরও পরিষ্কারভাবে সামনে ভেসে ওঠে। এটা সত্যিই একটা থেরাপির মতো কাজ করতে পারে তোমার জন্য।


9. Stay Curious :


যে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন করার শক্তি রয়েছে,যার মধ্যে জিজ্ঞাসা রয়েছে, যে মানুষ প্রশ্ন করতে শেখে, সে কখনো সাধারণ থাকে না। কৌতূহল ব্রেনের জন্য এমন এক শক্তি, যেটা ব্রেনকে কখনো বুড়ো হতে দেয় না। যখন তুমি নতুন একটি জিনিস দেখো আর ভাবো—এটা কীভাবে চলে?, এটা কেন এমন, এটা না হলে কী হতো? বা এই ধরনের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা যখন তোমার মনে তৈরি হতে থাকে ঠিক তখনই তোমার ব্রেনে নতুন নিউরাল কানেকশন তৈরি করতে শুরু করে। কৌতূহলী মানুষরা সবসময় শিখতে চায়, বুঝতে চায় এবং নতুন তথ্য গ্রহণে পিছিয়ে থাকে না। আর এই অভ্যাস ধীরে ধীরে তোমাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে, কারণ কৌতূহলই সৃজনশীলতা এবং বুদ্ধির আসল জ্বালানি।


10. Stop Scrolling Social Media :


সোশ্যাল মিডিয়ার পোকা হিসেবে তুমি এটা স্বীকার করো বা না করো কিন্তু আজকের দিনে আমাদের ব্রেনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সোশ্যাল মিডিয়া। নিরবচ্ছিন্ন স্ক্রলিং ব্রেনকে এত দ্রুত distract করে যে কিছুক্ষণ পরেই মনোযোগ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। ব্রেন ছোটখাটো তথ্যের স্রোতে ডুবে গিয়ে আসল কাজের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। যদি তুমি সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কমাতে না পারো, তাহলে তুমি একটা সময় দেখতে পাবে ধীরে ধীরে এই জিনিসগুলো কিন্তু তোমাকে সম্পূর্ণভাবে বরবাদ করে দিচ্ছে। তাই সময় থাকতে যতটা পারবে সোশ্যাল মিডিয়ার অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখো। মনোযোগের নীরব শত্রু সোশ্যাল মিডিয়ার অপ্রয়োজনীয় গভীর অন্ধকার থেকে তুমি যদি নিজেকে দূরে রাখতে পারো তাহলে তুমি তোমার আসল প্রোডাক্টিভিটি এবং ব্রেনের সত্যিকারের শক্তি ফিরে পাবে।


এটাও পড়ো : মোবাইলে শিখে অনলাইন ইনকামের জন্য সেরা 5টি অনলাইন কোর্স 2025


আশা করি এই জিনিসগুলো অনুসরণ করলে বা কিছু মাত্রায় পালন করলে তোমার ব্রেন আগে যে অবস্থায় ছিল, তার থেকে কয়েক গুণ ভালো একটি জায়গায় তুমি নিজেকে দেখতে পাবে।  



Post a Comment

Previous Post Next Post